আমাদের সম্পর্কে

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (পরম দয়ালু আল্লাহর নামে)

ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলা কৃষি গ্র্র্যাজুয়েটদের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ একটি সমিতি গঠনের প্রত্যাশায় ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানী সম্মেলনে (Scientist Convention) মিলিত হয়ে “ইষ্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল এসোসিয়েশন” নামে একটি ‘এসোসিয়েশন’ গঠন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ২রা জানুয়ারি কৃষি ভবন প্রাঙ্গণ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি” নামে এসোসিয়েশনের নতুন নামকরণ করা হয়। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের (অনুচ্ছেদ নং ৩৮ দ্রষ্টব্য) আওতায় একটি সমিতিতে সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার ও সুযোগও সমুন্নত করা হয়েছে। কয়েকজন কৃষি গ্র্যাজুয়েট তাদের স্বাক্ষরসহ আবেদন করে যে, ‘এসোসিয়েশন’ পরিচালিত হবে এক গুচ্ছ সম্মত নিয়ম ও বিধি অনুসারে এবং সে লক্ষ্যে একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। ১০ ফেব্রুয়রি ১৯৭৩-এ অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সাধারণ সভায় গঠিত অপর একটি উপ-কমিটি কর্তৃক ঐ খসড়া গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করা হয়। অতএব, ঐ সমস্ত আশা-আকাঙ্খা ও ক্রিয়া সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সনের ১২ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”র গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয় যা ঐদিন ১৯৭৩ সনের ১২ এপ্রিল থেকে সমগ্র বাংলাদেশে নিজেদের জন্য কার্যকর বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন অধ্যায় ও বিধিতে সংশোধনী আনয়ন করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নাম পরিবর্তন। বিগত ২০ জানুয়ারি ১৯৮১ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”-এই নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন করা হয়। এরপর ০৫.০৩.১৯৯২ তরিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নামের শব্দমালার পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ রাখা হয় এবং পরের বছর ১৯৯৩ সালের ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নামের ইনস্টিটিউশন ও বাংলাদেশ শব্দ দ্বয়ের মধ্যে কমা ব্যবহার করে সংশোধন করা হয় ও তা লোগোসহ সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। গত ১৯-০৯-২০১৪ সালের সাধারণ সভায় ইনস্টিটিউশন ও বাংলাদেশ শব্দদ্বয়ের মধ্যে ব্যবহৃত কমা বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হয় এবং তা ‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ নাম ধারণ করে।